লিট বাংলা ডট টেক, প্রযুক্তির হাতেখড়ি হোক বাংলাতেই।

হ্যাকিং / সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বাংলা প্রযুক্তির ব্লগ

কম্পিউটারের A এবং B ড্রাইভ কোথায় ?



ইংরেজি বর্নমালা শুরু হয় A , B , C , D  এভাবে  তা আমরা সবাই জানি , কিন্তু কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন কম্পিউটারের ড্রাইভ C  দিয়ে শুরু হয় ? A , B  ড্রাইভ কোথায় ?  
চলুন আজকে জেনে আসি সেই সহজ কারনটি ।

কম্পিউটারের আধুনিকায়নের ইতিহাস খুব একটা পুরোনো নয় । তবে খুব দ্রুততার সাথে কম্পিউটারের উন্নতি ঘটছে , আজ থেকে ১০ বছর আগের কম্পিউটার এর ক্ষমতার সাথে এখনের কম্পিউটারের কোন কিছুরই তুলনা করা সম্ভব না । 

কম্পিউটার যখন প্রথম দিকে বাজারে আসে, তখন তাতে ইন্টারনাল স্টোরেজ ছিল না। কম্পিউটারে স্টোরেজ হিসেবে শুরুর দিকে ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করা হতো। ফ্লপি ডিস্ক কম্পিউটারে প্রাথমিক অবস্থায় ‘A’ ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ফ্লপি ডিস্ক দুই ধরনের মাপের ছিল ৫ ১/৪ ইঞ্চি এবং ৩ ১/২ ইঞ্চি। ফলে কম্পিউটারে যখন উভয় ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হতো, তা ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভ নামে ছিল।

এরপর ১৯৮০ সালের দিকে যখন কম্পিউটারের ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে হার্ডডিস্ক আসে, তখন সেটি ধারাবাহিকতা অনুসারে ‘C’ ড্রাইভ নামে ব্যবহৃত হতে থাকে। কারণ তখনো কম্পিউটারে এক্সটারনাল স্টোরেজ হিসেবে ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভ ছিল। হার্ডডিস্কে সাধারণত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়। ধীরে ধীরে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এর ক্ষমতা বাড়তে থাকে ফলে এত অল্প স্পেস বিশিষ্ট ফ্লপিডিস্ক আসলে কোন কাজের ছিল না , ফলে ধীরে ধীরে তা বিলুপ্ত হতে থাকে , যেহেতু  তখন তারা  A , B নামে ছিল এবং হার্ড ডিস্ক এর ড্রাইভ C , D , E এই রকম ছিল তাই পরবর্তীতে ফ্লপিডিস্ক বিলুপ্ত হয়ে  গেলেও হার্ডডিস্ক তার সুচনা সময়কালের নামেই আছে , তবে হয়ত এমন সময় আসবে যখন হার্ডডিস্ক এর বদলে অন্য কিছু ব্যাবহার প্রয়োজন হবে , তখন হয়ত হার্ডডিস্ক এর সি ড্রাইভ বাদ দিয়ে অন্য কিছু হিসেব করতে হবে । তবে এটি ভাবার কোন কারন নেই যে A , B  ব্যাবহার করা যায় না । আপনি চাইলেই কম্পিউটারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অপশন থেকে ড্রাইভের নাম ‘A’ করতে নিতে পারবেন।