লিট বাংলা ডট টেক, প্রযুক্তির হাতেখড়ি হোক বাংলাতেই।

হ্যাকিং / সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বাংলা প্রযুক্তির ব্লগ

তাকেই বলা হয় ২১ শতকের প্রযুক্তির বরপুত্র-- "এলন মাস্ক" সম্পর্কে কয়জন জানেন


বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি টেসলার উদ্ভাবক



তিনিই সেই ব্যক্তি এলন রীভ মাস্ক, যিনি টেসলা মোটরস, সোলার সিটি এবং স্পেস এক্স, এই তিনটি বড় বড় নামজাদা কোম্পানির কর্ণধার।মাত্র ৪৫ বছর বয়সেই তিনি পৃথিবীর পরিবেশ নিয়ে ধ্যান ধারণার উর্ধ্বে উঠে পৃথিবীর ভোল পাল্টে দেওয়ার প্রযুক্তিতে বদ্ধ পরিকর।




গাড়ি ছাড়াও রকেট নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা মাস্ক। এ বছর গভীর মহাকাশ থেকে পরিবেশের ওপর নজরদারি করার জন্য গুগল ও ফিডেলটি নামের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল পেয়েছে তাঁর এই প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া মহাকাশ থেকে তারহীন উপায়ে পুরো বিশ্বে নেটওয়ার্ক সিস্টেম গড়ে তুলতে ৪০০ কৃত্রিম উপগ্রহ
 উৎক্ষেপণের জন্য সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে স্পেস এক্স। ২০১৩ সালে একটি বিশেষ টিউবের মধ্য দিয়ে দ্রুতগতির ট্রেন সিস্টেম বা হাইপারলুপের নকশার কথা জানান মাস্ক।



এলন মাস্কের দাবি, হাইপারলুপ হবে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির যোগাযোগ প্রযুক্তি। সৌরশক্তিনির্ভর এ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ৬০০ মাইলেরও বেশি গতিতে যোগাযোগ করা যাবে, অথচ এ যোগাযোগ প্রযুক্তি হবে প্লেন বা ট্রেনের চেয়ে সাশ্রয়ী। স্টেশন থেকে দ্রুতগতির হাইপারলুপ প্রযুক্তির যানে চেপে দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। হাইপারলুপ প্রযুক্তি মার্কিন ব্যাংকগুলোর




 অর্থ লেনদেনের একটি পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এলন মাস্কের মতে, হাইপারলুপ হবে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির কনকর্ডবিমান, দ্রুতগতির ট্রেন ও এয়ার হকির নকশার সমন্বিত রূপ। এটি এমন একটি যোগাযোগব্যবস্থা হবে, যার মাধ্যমে একটি টিউব কয়েকটি দেশ অথবা শহরজুড়ে থাকবে। টিউবের ভেতর থাকবে ক্যাপসুল। টিউব ব্যবস্থার মধ্যে কোনো বায়ু থাকবে না।
 ফলে থাকবে না কোনো প্রকার ঘর্ষণশক্তি। এই দ্রুতগতির ক্যাপসুলে চড়ে ঘণ্টায় ৬০০ মাইল বেগে ভ্রমণ করা যাবে।হাইপারলুপ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় দুই লাখ মানুষের ভ্রমণের সুযোগ থাকবে। আর নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট এবং নিউইয়র্ক থেকে বেইজিং যেতে লাগবে দুই ঘণ্টা। মাস্ক প্রবর্তিত এই হাইপারলুপ প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় এ বছর। 



হাইপারলুপ ট্র্যাক নির্মাণে খরচ হবে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার।

আজকের অনলাইন দুনিয়ার ইন্টারনেট পেমেন্টের পদ্ধতি মূলত এই প্রযুক্তিবিদ এলন মাস্কের মস্তিষ্ক প্রসূত। ভার্চুয়াল ওয়ালেটের উৎপত্তি কিন্তু পেপ্যালের হাত ধরেই। আজকের আধুনিক বিশ্বে এক অভিনব সাড়া জাগিয়েছে তার কোম্পানি পেপ্যাল। পেপ্যালের নাম পূর্বে ছিল ‘এক্স ডট কম’। শুরুর এক বছরের মাথায় ২০০১ সালে নাম পাল্টে হয় পেপ্যাল।


পরবর্তীতে ২০০২ সালে eBay কোম্পানি এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে পেপ্যাল কিনে নেয়,যেখানে এলনের শেয়ারে প্রাপ্ত অর্থ ছিল ১৮০ মিলিয়ন ডলার। অথচ অদ্ভুত হলেও সত্য যে, তার মূল ভালোবাসা তখনও ছিল পরিবেশ এবং মহাকাশের উপরেই। তারই পথে ছুটে যেতে কোম্পানি বিক্রি করে যে মোটা অর্থ তিনি পেয়েছিলেন তার অধিকাংশই ব্যয় করেছেন 



সৌরশক্তির পেছনে। তার স্বপ্ন ছিল কার্বনের কালো থাবা মুক্ত এক পৃথিবীর, যেখানে মানুষ বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারবে, গড়ে তুলবে সুন্দর এক পৃথিবী।