লিট বাংলা ডট টেক, প্রযুক্তির হাতেখড়ি হোক বাংলাতেই।

হ্যাকিং / সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বাংলা প্রযুক্তির ব্লগ

আপনি জানেন কি ? গুগলে যারা চাকরি করে তাদের খাবার ফ্রী !

গুগল হেডকোয়াটার্স !!! মানেই স্বপ্নের একটা প্লেস। 

লাস্ট সামারে যখন হেডকোয়াটার্স  এ যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার (David Burkas – Associate Professor of Management at Oral Roberts University) ।
স্বভাবতই, খুবই এক্সসাইটিং ছিল ব্যাপারটা ! প্রথমে প্রবেশ করেই দেখলাম , হিউজ খাবার দিয়ে ভর্তি এবং অনেক সুস্বাদু। এর অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে ,একদিন গুগল কো -ফাউন্ডার সের্গেই ব্রিন তার আর্কিটেক্ট ও অফিস ডিজাইনার কে ডেকে বললো অফিসটাকে 
এমনভাবে সাজাও যেন কেউ খাবার থেকে 200 ফিট দূরে না থাকে  ! চলুন দেখা যাক গুগল একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে  কত  টাকা পে করে থাকে?





গুগল $300k প্রতি বছর পে করে (মাঝে মাঝে আরও বেশি হয়ে থাকে) । যদি একজন ইঞ্জিনিয়ার 2000 ঘন্টা প্রতি ইয়ার এ  কাজ করে (40 ঘন্টা উইকে ,50 উইক বছরে ) তাহলে প্রতি ঘন্টায় গুগল তাকে $150 করে পে করছে।  এখন যদি একজন ইঞ্জিনিয়ার খাবারের বিলের জন্য লাইনে 5 মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে গুগলের লেবার কস্ট $12 ডলার লস হবে।  যা কিনা ঐ ইঞ্জিনিয়ারের 
লাঞ্চ বিলের চেয়েও বেশি।  আবার, অন্য দিকে যেহেতু এমপ্লয়ীকে রান্না করতে হচ্ছে না তাই তার টাইমটাও সেভ হবে।

গুগলের সেই লিজেন্ডারি গুগল পার্কে বেশির ভাগ ইন্টার্ন এপলাই করে থাকে এই ফ্রি ফুডের জন্য ! (শুধু কি ফুডই ফ্রি ? না! 
 চুলকাটা,লন্ড্রী , ঘুমানোর জন্য ক্যাপসল এবং আরো অনেক কিছুই ফ্রি ) গুগল তার এমপ্লয়ীদের জন্য ওয়ার্কপ্লেস তৈরী করেছে 
যাতে কেউ চলে যেতে না চাই।গুগল বিলিভ করে যে,

Happy workers are good workers.


কিনতু, সত্যটা একটু ভিন্ন !!! গুগল খাবারের পিছনে এত টাকা ইনভেস্ট করে তাদের এমপ্লয়ীকে ধরে রাখার জন্য না !
 এটার উদ্দেশ্য আসলে এমপ্লয়ীদের ইনোভেটিভ থিংকিং এর জন্য। আমরা খুব সহজে বুজতে পারি, ফ্রি ফুড কর্মীদের জন্য 
ফুয়েল হিসাবে কাজ করে কিনতু গুগলে ফ্রি ফুড মানে ইনোভেশন !!! গুগল সর্বদাই এমপ্লয়ীদের একসাথে খেতে উৎসাহিত করে। 
 কারণ, এতে করে আইডিয়াগুলা ক্রস- পলিনেসন হয়।

ফ্রি ফুডের মাধ্যমে গুগলের আরো লাভ হয় !


  1. ফ্রি ফুড একটা গ্রেট রিক্রুটিং টুল হিসাবে কাজ করে।
  2. কাজ করতে উদ্যোমী করে তোলে কর্মীদের।
  3. কমিউনিটি বিল্ড আপ হয়।
( সংগ্রহীত )