আজীবন তেজষ্ক্রিয় পদার্থ নিয়ে কাজ করে এক অজানা রোগে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর আইনস্টাইন বলেছিলেন: সুপ্রসিদ্ধ মনীষীদের মাঝে একমাত্র মেরি কুরীর জীবনই যশের প্রভাবমুক্ত ছিল। নিজের জীবনটা যিনি অপরিচিতের মতো সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে পেরিয়ে গিয়েছেন, সেই চিরকেলে নারীর কথা লিখতে বসে আজ আমি নিজের মধ্যে সাহিত্য প্রতিভার অভাব বোধ করছি। মেরী স্কলোডসকা কুরীর জন্ম পোল্যান্ডের ওয়ার্স এ রাশিয়ায় অত্যাচারী জার শাসনের নিষ্পেষণের সময়। পরিবারে তাঁকে মানিয়া নামে ডাকতো। তাঁর বাবা ব্লাদিস্লাভ শক্লোদোভস্কি ওয়ার্সে একটি নামকরা কলেজের পদার্থের অধ্যাপক ছিলেন এবং মা ছিলেন একটি নামকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তাঁর বাবা প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় মেরীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিজ্ঞান ও সাহিত্য বিষয়ে আসর বসাতেন।
কসময় তাঁর পরিবার মারাÍক অর্থ সংকটে পড়ায় তাঁর বড় বোনের পড়াশুনার খরচ চালানোর জন্য তিনি ১৮৬৬ সালের ১ জানুয়ারি মাসিক পাঁচশ রুবল-এর বিনিময়ে এক অভিজাত রুশ আইনজীবির বাড়িতে গভর্নেসের চাকরি নেন। তাদের দুবোনের মধ্যে শর্ত ছিল একজনের পড়াশুনা শেষ হবার পর অপর জনের পড়াশুনার খরচ যোগাবে। তাই অনেক মানসিক পীড়নের মধ্যে তাঁকে তিন বছর চাকরি করতে হয় এবং এরই মধ্যে তার বড় বোন ব্রোনিয়া ডাক্তারী পাস করে। পূর্ব শর্তানুযায়ী এবার মেরী তাঁর বোনের আর্থিক সহায়তায় বিজ্ঞানের উচচশিক্ষার জন্য প্রথমে অস্ট্রিয়ার শাসনাধীন ‘ক্রাকো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। কিন্তু সেখানে তিনি বিজ্ঞান ক্লাসে যোগ দিতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচিব তাকে অসম্মতি জ্ঞাপন করে বলেন “বিজ্ঞান মেয়েদের জন্য নয় তাই তিনি যেন রন্ধন শিক্ষা ক্লাসে যোগ দেন।” পরিচয় ঘটে এক ফরাসী বিজ্ঞানী পিয়ারে কুরীর সাথে যিনি ইতিমধ্যে চুম্বকত্ব ও পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণা করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। পিয়ারে কুরী তার জীবনকে পরিবর্তীত করার ক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা রাখেন। তারা বিয়েও করেন। ১৮৯৮ সালেই এই দ¤পতি প্রথমে পিচব্লেণ্ড হতে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ পলোনিয়াম (৯৪চঁ২৩৯) এবং পরে রেডিয়াম (জধ) আবিষ্কার করেন যা ইউরোনিয়াম [৯২ট২৩৯] হতে দশ লক্ষগুণ বেশি শক্তিশালী।
এই রেডিয়ামের ব্যবহার অপরিসীম। তাদের কাজের অবদান স্বরূপ ১৯০৩ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি কুরী দ¤পত্তিকে ডেভী পদক প্রদান করে। এবং এ বছরই পদার্থবিজ্ঞানে হ্যানরী বেকেরেলের সাথে তাদেরকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
তিনি রেডিয়ামকে বিশুদ্ধ অবস্থায় আলাদা করতে সক্ষম হন। এবং পুণরায় তাঁর যোগ্যতা প্রমাণে সক্ষম হন। তার এই কৃতিত্বের জন্য ১৯১১ সালে রসায়ন বিজ্ঞানে তিনি একা নোবেল পুরস্কার পান। দ্বিতীয় যুদ্ধে আহত সৈনিকদের যিনি দিয়েছেন একাগ্র সেবা, ভবিষ্যত বিজ্ঞানীদের দিয়েছেন উপদেশ ও পরামর্শ। সর্বোপরি নিজের স্বাস্থ্যের দিকে না তাকিয়ে যিনি ঢেলে দিয়েছেন তাঁর সবটুকু সময়।
কসময় তাঁর পরিবার মারাÍক অর্থ সংকটে পড়ায় তাঁর বড় বোনের পড়াশুনার খরচ চালানোর জন্য তিনি ১৮৬৬ সালের ১ জানুয়ারি মাসিক পাঁচশ রুবল-এর বিনিময়ে এক অভিজাত রুশ আইনজীবির বাড়িতে গভর্নেসের চাকরি নেন। তাদের দুবোনের মধ্যে শর্ত ছিল একজনের পড়াশুনা শেষ হবার পর অপর জনের পড়াশুনার খরচ যোগাবে। তাই অনেক মানসিক পীড়নের মধ্যে তাঁকে তিন বছর চাকরি করতে হয় এবং এরই মধ্যে তার বড় বোন ব্রোনিয়া ডাক্তারী পাস করে। পূর্ব শর্তানুযায়ী এবার মেরী তাঁর বোনের আর্থিক সহায়তায় বিজ্ঞানের উচচশিক্ষার জন্য প্রথমে অস্ট্রিয়ার শাসনাধীন ‘ক্রাকো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। কিন্তু সেখানে তিনি বিজ্ঞান ক্লাসে যোগ দিতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচিব তাকে অসম্মতি জ্ঞাপন করে বলেন “বিজ্ঞান মেয়েদের জন্য নয় তাই তিনি যেন রন্ধন শিক্ষা ক্লাসে যোগ দেন।” পরিচয় ঘটে এক ফরাসী বিজ্ঞানী পিয়ারে কুরীর সাথে যিনি ইতিমধ্যে চুম্বকত্ব ও পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণা করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। পিয়ারে কুরী তার জীবনকে পরিবর্তীত করার ক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা রাখেন। তারা বিয়েও করেন। ১৮৯৮ সালেই এই দ¤পতি প্রথমে পিচব্লেণ্ড হতে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ পলোনিয়াম (৯৪চঁ২৩৯) এবং পরে রেডিয়াম (জধ) আবিষ্কার করেন যা ইউরোনিয়াম [৯২ট২৩৯] হতে দশ লক্ষগুণ বেশি শক্তিশালী।
এই রেডিয়ামের ব্যবহার অপরিসীম। তাদের কাজের অবদান স্বরূপ ১৯০৩ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি কুরী দ¤পত্তিকে ডেভী পদক প্রদান করে। এবং এ বছরই পদার্থবিজ্ঞানে হ্যানরী বেকেরেলের সাথে তাদেরকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
তিনি রেডিয়ামকে বিশুদ্ধ অবস্থায় আলাদা করতে সক্ষম হন। এবং পুণরায় তাঁর যোগ্যতা প্রমাণে সক্ষম হন। তার এই কৃতিত্বের জন্য ১৯১১ সালে রসায়ন বিজ্ঞানে তিনি একা নোবেল পুরস্কার পান। দ্বিতীয় যুদ্ধে আহত সৈনিকদের যিনি দিয়েছেন একাগ্র সেবা, ভবিষ্যত বিজ্ঞানীদের দিয়েছেন উপদেশ ও পরামর্শ। সর্বোপরি নিজের স্বাস্থ্যের দিকে না তাকিয়ে যিনি ঢেলে দিয়েছেন তাঁর সবটুকু সময়।