সফটওয়্যার বা টেকনলজিতে বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই, দেশের মেধাবী তরুন প্রজন্মের তৈরী এপস ও গেমস জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিদেশি গেম বা এপস এর মতই ,
মোবাইল বা পিসির এই এপস গুলো তারা তৈরী করছে অনেকটাই নিজ উদ্দ্যোগে কিন্তু এই খাতে দেশে স্পন্সর করার মত কোম্পানী নেই বললেই চলে , মার্কেটিং এর অভাবে এই এপস বা গেমস পৌছাতে পারছে না সবার কাছে, ফলে ঠিক মত মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না
তো আসুন দেখে নেই বাংলাদেশের তরুনদের তৈরী কিছু মোবাইল গেমস , যা খেলার সময় হয়ত কিছু সময়ের জন্য দেশি ফ্লেবার পাবেন , তো দেড়ি না করে আসুন জেনে আসি এমন কিছু এপস সম্পর্কে ,
অ্যাকশন এগঃ
এন্ড্রয়েড ও আইফোনের জন্য তৈরী গেমসটি মুলত তৈরী করা হয়েছে শিশুদের জন্য , কিন্তু বড়দের কাছেও এই গেম জনপ্রিয়তা পেয়েছে । অ্যাকশন এগ একটি আত্মরক্ষামূলক গেম যেখানে গেমারকে একটি ডিম হিসেবে খেলতে হবে। গেমটির পটভূমি হলো সায়েন্স ফিকশন ধাঁচের। কিছু ডিমকে ডিম নগরী থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করা হয়। গেমার-এর কাজ হলো সুস্থ অবস্থায় সবাইকে নিয়ে সেখান থেকে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়া। প্রথমদিকে একটু সোজা হলেও গেমটি ধীরে ধীরে কঠিন করা হয়েছে। গেমারকে বিভিন্ন সময় অনেক সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে। গেমটিতে অনেক পাওয়ার আছে যেগুলো গেমার ইন অ্যাপ পারচেজ করে নিতে পারবেন। ভালো খেললে সেগুলো পুরস্কার হিসেবে ফ্রি পাওয়া যাবে। এছাড়াও প্রতিদিনই অসংখ্য পাওয়ার বিভিন্ন উপায়ে পাওয়া যাবে। এটি একটি ট্যাপ দিয়ে খেলার গেম। গেমারদের সুবিধার্থে প্রথমেই একটি টিউটোরিয়াল দেখানো হয়েছে। ২০১২ সালে বায বাংলা নামের কোম্পানী এই গেমটি উন্মুক্ত করে ।
হিরোজ অফ ৭১
এন্ড্রয়েডে গেম খেলেন অথচ হিরোজ অফ ৭১ এর নাম শুনে নি এমন লোক কমই রয়েছে , মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভুমিতে তৈরী গেমটি রিলিজ পেয়েছিল বিজয় দিবসের দিন । বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর মিলে তৈরী এই গেমটি পোর্টব্লিস নামক কোম্পানীর ব্যানারে প্রকাশ পায় ।
হাইওয়ে চেসঃ
রাইস আপ ল্যাবস বাংলাদেশের জনপ্রিয় গেম মেকিং কোম্পানীর মধ্যে অন্যতম । হাইওয়ে চেস তাদেরই তৈরী একটি গেম। ‘হাইওয়ে চেস’ গেমটি অ্যাকশন ও শুটিংপ্রেমীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। গেমটিতে গেমারের চরিত্রে রয়েছেন একজন স্নাইপার। যার কাজ হলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে চোরের গাড়ি ধ্বংস করা। পাশাপাশি পথচারী ও সাধারণ গাড়িতে যেন আঘাত না লাগে, সেটিও খেয়াল করা।
আশরাফুল আজাদ আরও বলেন ছোট-বড় সবার জন্য উপযোগি করে ‘হাইওয়ে চেস’ গেমটি তৈরি করা হয়েছে। সময় কাটানোর জন্য মজার একটি গেম। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার খেয়াল রেখে গেমটিতে উন্নতমানের সাউন্ড ইফেক্টস, আকর্ষণীয় গ্রাফিক্স এবং পয়েন্ট সুবিধা রয়েছে। পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে গেমার গেমের বিভিন্ন ধাপ আনলক করতে পারবেন। দীর্ঘদিন সময় নিয়ে একটি দল এ গেম তৈরিতে কাজ করেছে।
ট্যাপ ট্যাপ এন্টসঃ
বাংলাদেশের গেম কে পৃথিবীর বুকে পরিচয় করিয়ে দেয়া গেম বলা যায় এটিকে , গেমটিতে স্ক্রিনের নিচের অংশে কিছু খাবার থাকবে এবং সে খাবার খেতে স্ক্রিনের চারপাশ থেকে ক্ষুধার্ত পিঁপড়া আসতে থাকবে। গেমারের কাজ হবে-স্ক্রিনে টাচ করে প্রতিটি পিঁপড়াকে পিষে মারা এবং পিঁপড়ার হাত থেকে খাবার রক্ষা করা। এতে চারটি গেম মোড আছে; বিশেষত বাচ্চাদের জন্য আছে কিড মোড-যা কিছুটা কার্টুনধর্মী করে বানানো। এ গেমটিতে বিভিন্ন রকমের পিঁপড়ার পাশাপাশি সেগুলোর সক্রিয়তার মাঝেও বৈচিত্র্য দেখা যাবে। গেমের মধ্যে আছে দানব বা মনস্টার পিঁপড়া, যার এক কামড়েই গেম ওভার হয়ে যেতে পারে। সময় অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গে পিঁপড়ার সংখ্যাও বাড়তে থাকবে। এ ছাড়াও গেমটিতে পৃথক পৃথক ব্যাকগ্রাউন্ড, মিউজিক সহ রয়েছে আরও কিছু বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশের গেমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ডাউনলোড ও আন্তর্জাতিক পুরুষ্কার ও রয়েছে এর ঝুলিতে
মুক্তি ক্যাম্পঃ
এখনো প্রকাশিত হয়নি গেমটি , তবে ট্রেইলার এরই মধ্যে মাত করে দিয়েছে সব , পোর্ট ব্লিস এর ব্যানারে তাদের হিরোজ অফ ৭১ এর পরবর্তী ভার্শন বলতে পারেন একে
তবে ওইগেম থেকে এর ভিন্নতা অনেক থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে ।