টিম বানার্স লী |
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, বর্তমানে কম্পিউটার ব্যাবহারকারীদের মধ্যে একটি প্রিয় শব্দ । দিন যতই পেরুচ্ছে ওয়েবসাইট এর চাহিদা ততই বাড়ছে । কেও অনেক আগে থেকেই ওয়েব ডিজাইন নিয়ে রয়েছে কেও আবার সবে মাত্র শুরু করেছে । ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর কাজের সূচনা কালে যে বিষয়টি দিয়ে প্রায় সবাই শিখা শুরু করে তা হল HTML .
সাধারনত একটি ওয়েবসাইটের ব্যাসিক স্ট্রাকচার HTML এ তৈরী করা হয়ে থাকে । এর পূর্নরূপ হচ্ছে Hyper Text Markup Language । ইন্টারনেটে, তথা ওয়েবসাইটে ওয়েবপেজ তৈরিতে এইচ টি এম এল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ফাইলের এক্সটেনশন .html অথবা .htm উভয়ই হতে পারে। একে কিন্তু প্রগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বলা যায় না । হলো একটি মার্ক আপ ল্যাঙ্গুয়েজ। এইচটিএমএল এর মার্ক আপ ট্যাগ সমূহ ব্যাবহার করে ওয়েবপেজ এর বেসিক কাঠামো তৈরি করা হয়। ধীরে ধীরে আমরা HTML সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। আপাতত এর ইতিহাস নিয়েই কিছু কথা হয়ে যাক। HTML জনক হচ্ছেন টিম বার্নাস-লী। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য উপাত্ত দ্রুত পৃথিবীর বিভ্ন্নি স্থানে আদান প্রদানের ব্যবস্থা করা।
১৯৮০ সালে সার্ন (CERN) এর গবেষনা পর্ষদে থাকাকালীন তিনি তথ্য শেয়ারের জন্য ENQUIRE Prototyped নামে একটি System এর প্রস্তাব দেন । প্রায় ৯ বছরের মাথায় ১৯৮৯ সালে ১৯৮৯ সালে ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি Hyper Text (হাইপার টেক্সট) সিস্টেম প্রস্তাবে একটি মেমো লিখেন । সফলতার পর টিম বার্নাস লী ও CERN এর তথ্য ইঞ্জিনিয়ার Robert Cailliau যৌথ ভাবে CERN কে এ প্রকল্পের জন্য অর্থায়নের অনুরোধ করেন কিন্তু প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিক ভাবে CERN দ্বারা গৃহীত হয় নি, কিন্তু পরবর্তীতে মোজাইক ব্রাউজারের মাধ্যমে তা সবার কাছে পরিচিতি লাভ করে ।
টিম বার্নাস লী ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর তত্ত্বাবধায়ক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোটিয়াম (W3C) এর ডিরেক্টর । বর্তমানে তার তৈরী HTML এর ৫ম ভার্শন বাজারে চলছে । HTML3.2 প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালের জানয়ারিতে ও একই সনের শেষের দিকে প্রকাশ হয় HTML4.2 এবং HTML (এইচটিএমএল) এর সর্বশেষ ভার্শন HTML5 প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে ।HTML5 এ ওয়েবসাইটে অডিও,ভিডিও যোগ করার জন্য নতুন আদর্শ(স্ট্যান্ডার্ড) যোগ করা হয়েছে।
শুধুই কি HTML দিয়েই কাজ হবে ? একটি ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি , তাকে রেসপন্সিভ করা এবং ব্যাবহারকারীর সংগে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য ব্যাবহৃত হচ্ছে CSS , Java Script , JQuery , PHP , Mysql ইত্যাদি।
HTML ও CSS
CSS এর পূর্নরুপ হচ্ছে Cascading Style Sheet . এইচটিএমএল এর মাধ্যমে একটি ওয়েব পেইজ বাহ্যিক রুপ পায় আর সিএসএস-এর মাধ্যমে এর সৌন্দর্য পরির্পূণ্যতা লাভ করে। মূলত সিএসএস-এর ব্যবহারে পেইজ ডিজাইনিং প্রচুর সময় বাঁচে। এর ফাইল এক্সটেনশন হল .css ।
একটি ওয়েবসাইটকে যদি একটি ঘরের সাথে তুলনা করা যায় তো ইট সিমেন্ট দিয়ে তৈরী একটি ঘর এবং CSS হল সেই ঘরের টাইলস , প্লাস্টার বা সৌন্দর্য বৃদ্ধির জিনিশগুলো , প্রোগেমিং নিয়ে ট্রল করা একটি পেইজ থেকে শুধু HTML এবং HTML ও CSS দিয়ে করা ওয়েবসাইটের পার্থক্য নিয়ে একটি মজাদার ট্রল দেয়া হয়েছিল , সেটি দেখলেই আসলে বুঝে যাবেন CSS ব্যাবহারের উপকারিতা । নীচেই ছবিটি দিয়ে দেয়া হলঃ
অনেক তো কথা হল আসুন HTML এর ব্যাসিক কিছু জিনিস জেনে আসি ,
ব্যাসিক স্ট্রাকচারঃ
<html>
<head>
</head>
<body>
</body>
</html>
যাদের এটি সম্পর্কে ধারনা নেই তারা বলবে , এ কি দিলেন ভাই । কিছুই বুঝি না । কোন চিন্তা নেই , ধারাবাহিক ভাবে আস্তে আস্তে সব বুঝে যাবেন ।
ট্যাগঃ
কোড লেখার আগে পরে নির্দিষ্ট কিছু চিহ্নসহ নির্ধারিত কিছু শব্দ ব্যাবহার করা হয়। এগুলোকে ট্যাগ বলে। ব্যাসিক স্ট্রাকচারটি দেখুন, < > চিহ্ন নিয়ে উপরের যা আছে সব গুলোই একেকটি ট্যাগ ।
যেসব ট্যাগের শুরুতে স্ল্যাশ থাকবে সেটি ক্লোজিং ট্যাগ এবং যেগুলোর শুরুতে কিছু নেই সেগুলো ওপেনিং ট্যাগ।
মোটামোটি অনেক কিছু জেনে ফেললেও এটি দিয়ে আসলে কিছুই হবে না ধারাবাহিক ভাবে সিরিজটি ফলো করুন, আশা করি সহজেই বুঝে যাবেন।