মোবাইল ফোন আমাদের প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় , মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখা , গেম খেলা , ছবি তোলা , গান শোনা সব কিছুই এখন মোবাইল দিয়েই হচ্ছে ,
ঘুম থেকে উঠে মোবাইলের স্ক্রিন দেখেই আমাদের সকাল শুরু হয়, কিন্তু আপনি কি জানেন মোবাইল আমাদের মারাত্বক ক্ষতির কারন ?
আসুন জেনে নেই এই সম্পর্কে
মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ক্ষতিকর তরঙ্গের সঙ্গে মস্তিষ্কে ক্যানসারের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোষকলা এই ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও। এছাড়া কানে ফোন নিয়ে যখন কথা বলা হয় তখন এর রেডিয়েশন মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে ।
মুঠোফোন ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা তৈরির বিষয়টি অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গান শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে। একসময় বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সারাদিন মোবাইল ডিস্প্লের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য চোখের ও অনেক ক্ষতি হয় ,
উপরের কারন গুলোর জন্য শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় , এর মধ্যে মাথা ব্যাথা সবচেয়ে সাধারন সমস্যা।
মোবাইলকে যারা বেশী ভালবাসে তাদের একটি মানসিক ব্যাধি হয় , হারানোর এই ভয়জনিত অসুখের নাম দিয়েছেন ‘নোমোফোবিয়া’; যার পুরো নাম ‘নো মোবাইল-ফোন ফোবিয়া’। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ৫৩ শতাংশ এবং ২৯ শতাংশ ভারতীয় তরুণরা এ রোগের শিকার। ৫ বছর আগেও যে রোগের অস্তিত্ব কল্পিত ছিল না, আধুনিকতার সে রোগ নিয়ে দেশে-বিদেশে চিন্তিত মনোবিজ্ঞানী-মহল। অতিরিক্ত মুঠোফোন নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে পরামর্শ দেন গবেষকেরা। এছাড়াও বর্তমানে কিশোর-তরুনদের নিদ্রাজনিত সমস্যার জন্য অনেকাংশেই দায়ী এই মোবাইলফোন
করনীয়ঃ
১)অপ্রয়োজনে বেশিক্ষন ফোনে কথা বলবেন না , যদি একান্তই দরকার হয় তবে হেডফোন ব্যাবহার করুন
২) ম্যাসেজ পাঠিয়ে কোন কাজ হয়ে গেলে ম্যাসেজে নির্ভর হোন,
৩) ব্যাটারী একদম শেষ এমন পর্যায়ে ফোন ব্যাবহার না করাই ভাল
৪) যাকে ফোন করেছেন সে রিসিভ করার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন
৫) জনবহুল বা কম নেটওয়ার্কের এলাকায় অপ্রয়োজনে ফোনে কথা বলবেন না
ওয়াইফাই এর ক্ষতিকারক দিক জানতে এই লিংক পড়ে ফেলুন