লিট বাংলা ডট টেক, প্রযুক্তির হাতেখড়ি হোক বাংলাতেই।

হ্যাকিং / সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বাংলা প্রযুক্তির ব্লগ

QR Code কেন ব্যাবহার করবেন?



বারকোড বলতে মুলত আমরা বুঝি লম্বালম্বা জেব্রাক্রসিং এর মত কিছু দাগকে , কিন্তু এতে ডাটা খুবই কম প্রদর্শ করা যায়, এর জন্য অত্যাধুনিক যে পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয় তা হচ্ছে ২ডি কোড বা কিউ আর কোড । Quick Response থেকেই কিউ আর শব্দটি এসেছে। এটি হল সর্বপ্রথম জাপানে স্বয়ংচালিত শিল্পের জন্য পরিকল্পিত ম্যাট্রিক্স বারকোড

 বিভিন্ন যায়গায় এই কিউ আর কোড ব্যাবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন ভিজিটিং কার্ড , বড় প্রডাক্ট , কোম্পানির জরুরী কাগজপত্র, বায়োডাটা , বিভিন্ন অনুষ্ঠানের টিকেট এ কিউ আর কোড ব্যাবহার হয়, 

QR কোডের সুবিধা যদি জিজ্ঞেস করা হয় তো বলব বর্তমানে কিউ আর কোড ব্যাবহারকে ফ্যাশন বা প্রয়োজন যার সাথে ইচ্ছা তুলনা করতে পারেন । আপনার ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ছোট্ট কার্ডে আপনি কতটুকুই বা তথ্য দিতে পারবেন কিন্তু আপনি কিউ আর কোড ব্যাবহার করলে ছোট একটি জায়গা দখল করিয়ে তার মাধ্যমে প্রায় ২০০০+ বর্ন দিয়ে নিজেকে ব্যাক্ষা করতে পারবেন , বড় বড় কোম্পানী গুলোর বিজ্ঞাপনেও আজ কিউ আর কোড ব্যাবহার হচ্ছে । 
সাধারন বারকোডের কোন অংশ নষ্ট হয়ে গেলে বা এতে দাগ পড়ে গেলে এথেকে কোন তথ্য বেড় করে আনা অনেক সমস্যার হয়ে পড়ে। কেনোনা এতে তথ্য সংরক্ষিত রাখার জন্য শুধু কয়েকটি লম্বা রেখা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে কোন তথ্য ব্যাকআপ রাখার কোন সিস্টেম থাকেনা। কিন্তু ২ডি বারকোডে একই তথ্য আলাদা ফর্মে একাধিকবার সেভ করা থাকে। ফলে একটি তথ্য অ্যাক্সেস না হলেও আরেকটি থেকে এর তথ্য পাওয়া যায়। তাই কোড ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কিউআর কোডে কোন সমস্যা হয়ে থাকেনা।  
উপরের ছবিটি দেখলে সাধারন বারকোড ও কিউ আর কোড এর মধ্যে পার্থক্য ভাল মতই ধরতে পারবেন ।
কিউ আর কোডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি আপনি আপনার হাতের স্মার্টফোন দিয়েই রিড করতে পারবেন, এর জন্য কিউ আর কোডের কিছু এপস আছে যার একটি ডাউনলোড করলেই আপনি যেকোন কিউ আর কোড রিড করতে পারবেন । 

আজকাল কিউ আর কোড মোবাইলের এপস বা ডাটা ট্রান্সফারের কনফার্মেশন এর ক্ষেত্রেও ব্যাবহার হয়ে থাকে। অনেকে আবার নিজের তথ্য কিউ আর কোডে ট্যাটু হিসেবে দিয়ে রাখে যদিও ব্যাপারটি সমর্থন যোগ্য নয় , সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে হল্যান্ডের একটি মুদ্রাতে পর্যন্ত কিউ আর কোড ব্যাবহার করা হয়েছিল।