এমন এক ধরনের যন্ত্র যা পাল বা ব্লেডের মাধ্যমে আবর্তনশীল শক্তির মাধ্যমে বায়ু শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রুপান্তর করে। মানব সভ্যতার প্রাথম দিকে এটি ব্যবহার করা হতো শস্য উৎপাদনে। কারণ সেই সময়টায় শস্য উৎপাদনে কোনো উন্নত ডিভাইস কিংবা প্রযুক্তি ছিলো না। পরবর্তীতে মানুষ এটির ভিন্ন একটি ব্যবহার খুঁজে পায়। যান্ত্রিক টার্বাইন ব্যবহার করে কলকারখানা এবং বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয় বিভিন্ন দেশে।
নেদারল্যান্ডসে ১৮৫০ সালের কাছাকাছি সময়ে প্রায় ১০ হাজার উইন্ডমিল নির্মাণ করা হয়; সেগুলোর মধ্যে এক হাজার এখনো টিকে আছে। এগুলো কিছু ছাতু মিলে বাণিজ্যিকভাবে অপারেটিংয়ে সাহায্য করছে।বর্তমানে নিষ্কাশন মিলের অনেক আধুনিক পাম্পিং স্টেশন ব্যাকআপ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে গুগল উইন্ডমিল এর ব্যবহার শুরু করেছে .
যুক্তরাষ্ট্রে বায়ুশক্তি গত কয়েক বছরে দ্রুত বিস্তার লাভ করেছে। ২০১৩ সালের হিসাবে দেশটির মোট ক্ষমতা ৬১১০৮ মেগাওয়াট ছিলো। এই ক্ষমতা শুধুমাত্র চীন অতিক্রম করতে মার্কিন বায়ু শিল্পে গত ১৭ বছর ধরে ১৫.৬ শতাংশ গড়ে বার্ষিক বৃদ্ধি (১৯৯৫-২০১১) ছিলো। ২০১৪ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র বায়ুশক্তি থেকে ১৭৭.৪৪ টেরাওয়াট প্রতি ঘন্টায় শক্তি উৎপন্ন করে যা মোট বৈদ্যুতিক শক্তির ৪.৩৩%
‘গ্রামীণ শক্তি’ সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচালিত উইন্ডমিল তৈরি করে।এগুলো হচ্ছে ‘সেন্ট মার্টিন বায়ু সিস্টেম’ , ‘কুতুবদিয়া বায়ু সিস্টেম’ এবং ‘চট্টগ্রাম জেলা বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প’।