জানেন কি ?লিনাক্স বা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম হলো ওপেন সোর্স সফটওয়্যার। কারন ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গুলো যখন উন্মুক্ত করা হয়, তখন এরসাথে সোর্স কোড গুলোকেও উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। অনেক সময় ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার ডেভেলপাররা সোর্স কোড দিয়ে সফটওয়্যারটির এক্সিকিউট করে ফাইল তৈরি করে তারপর উন্মুক্ত করে, আবার অনেক সময় শুধু সোর্স কোড উন্মুক্ত করে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কি?
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বলতে, যেখানে সফটওয়্যারটির সোর্স কোড সকলের জন্য ওপেন থাকে (পাবলিক) এবং অন্যান্য সফটওয়্যার গুলোর সোর্স কোড ক্লোজ থাকে (প্রাইভেট)। তো ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার বলতেই ফ্রী কিছু নয়। হ্যাঁ, হয়তো আপনি অনেক সফটওয়্যারকে ফ্রী দেখতে পান, তবে এটির সংখ্যা অতি সামান্য। শুধু ওপেন-সোর্স নয়, প্রাইভেট সফটওয়্যার গুলোও ফ্রী হতে পারে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কেন ব্যবহার উপযোগী ?
মনেকরুন , কোন ইঞ্জিনিয়ার একটি বাড়ি তৈরি করলেন এবং বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিলেন। আপনি সেই বিজ্ঞাপন দেখে বাড়িটি কিনলেন। বাড়িটি কেনার পরে আপনি সেটি যথাযতো ভাবে ব্যবহার করতে শুরু করলেন। আপনি সকল রুম ব্যবহার করছেন, সকল সুইচ ব্যবহার করছেন ইত্যাদি। এখন মনেকরুন ,একটি ঘরের বিদ্যুতের লাইনের সমস্যা হয়ে গেলো বা পানির নল ফেটে কোথা হতে পানি নির্গমন করা আরম্ভ করে দিল। তবে আপনি কি করবেন? আপনি তো নিজে ঠিক করতে পারবেন না—কেনোনা আপনি আপনার বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন সম্পর্কে জেনেন না, আর নাই বা জেনেন কোন দিক দিয়ে কোন পানির নল নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
একইভাবে যখন আপনি কোন সফটওয়্যারকে আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করেন, তখন তার সোর্স কোড সম্পর্কে আপনার কোন জ্ঞান থাকেন না আর নাইবা আপনি চাইলে সেই কোড গুলোকে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। যেমন করে আপনার বাড়ির নলের ব্যবস্থা এবং ইলেক্ট্রিসিটি লাইন আপনার বাড়ির পানি এবং বিদ্যুৎকে চালাতে সাহায্য করে ,ঠিক একইভাবে কোন সফটওয়্যার তার কাজ করার পদ্ধতি আপনাকে না জানিয়েই আপনার কাজ করে দেয়।
ওপেন সোর্সের সুবিধা
কমিউনিটি তৈরি করতে সাহায্য করে---- যখন কোন সোর্স কোডকে পাবলিক হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়, তখন যেকোনো ডেভেলপার বা প্রোগ্রামার সেই সফটওয়্যারটি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এই অর্জিত জ্ঞান তাদের প্রোগ্রামিং দক্ষতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
এটি দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়---মালিকানা কোন সফটওয়্যারে বা ক্লোজ সফটওয়্যারে কোন ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গেলে, ব্যবহারকারীগনদের অপেক্ষা করতে হয়, যতক্ষণ না সেই সফটওয়্যার কোম্পানিটি তা ঠিক করে নতুন ভার্সন উন্মুক্ত করে।ওপেন সোর্সে যেকোনো সফটওয়্যারের ত্রুটি অনেক দ্রুত সমাধান হতে পারে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্রতিযোগিতা ও বৈচিত্র্যতার সৃষ্টি করে-- ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বৈচিত্র্যতার জন্য বিশেষভাবে বিশিষ্ট। লিনাক্সের কতো গুলো ফ্লেভার রয়েছে, জেনেনই তো। আবার মজিলা ফায়ারফক্সের কতো গুলো ভাই ব্রাউজার রয়েছে তাও জানেন।এমনকি গুগল ক্রোম ব্রাউজারও ক্রমিয়াম নামক ওপেন-সোর্স প্রোজেক্ট থেকে প্রস্তুত।