লিট বাংলা ডট টেক, প্রযুক্তির হাতেখড়ি হোক বাংলাতেই।

হ্যাকিং / সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বাংলা প্রযুক্তির ব্লগ

ক্লাউড কম্পিউটিং এর রহস্য !!!




ক্লাউড কম্পিউটিং

ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে আমরা মেঘের মত কিছু বুঝি । আসলে তা না ।  ক্লাউড কম্পিউটিং হল কম্পিউটারের রিসোর্স গুলো যেমন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর সার্ভিস গুলো নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রদান করা।

মনে করুন আপনার একটি প্রতিষ্ঠান আছে এবং তাতে ৫০০ জন কর্মী কাজ করে। তাহলে আপনাকে এই ৫০০ জন কর্মীর ডাটা (নাম, ছবি, ঠিকানা, বয়স ইত্যাদি) এবং তাদের বেতনের হিসেব রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি কাস্টমাইজ সফটওয়্যার কিনতে হবে এবং ডাটা সংরক্ষণের জন্য হার্ডডিস্ক এবং জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে এত কিছু করার কোন দরকার নেই। কোন সফটওয়্যার এবং অতিরিক্ত হার্ডওয়্যার না কিনেই আপনি অনলাইনে কাজ গুলো করতে পারবেন এবং আপনার মূল্যবান ডাটা অনলাইনেই সংরক্ষণ করতে পারবেন। মূলত এটাকেই বলা হয় ক্লাউড কম্পিউটিং।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর কিছু  বৈশিষ্ট্য ঃ 

১) খুব দ্রুত এবং সহজে যেকোনো রিসোর্স নেয়া যায় । ইচ্ছা করলেই যখন খুশী তখন শুধু মাত্র কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে রিসোর্স কম বেশি করা যায়। 

২) আপনি শুধু আপনার আপ্লিকেশন তৈরি এবং ব্যবসায় মনোযোগ দিবেন। আর যা ব্যবহার করবেন তার খরচ দিবেন। 

৩) যতক্ষণ আপনি ইন্টারনেট এবং প্রোভাইডারের সাথে কানেক্ট থাকবেন, ব্যবহারকারী হিসেবে  যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো ডিভাইস দিয়ে আপনি আপনার ক্লাউড রিসোর্সে প্রবেশ করতে পারবেন।

৪)ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেটআপ দেয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কোন চিন্তা করা লাগেনা। ক্লাউড  সার্ভিস প্রোভাইডাররাই সবকিছু দেখভাল করে। 

৫)একাধিক ব্যবহারকারী একই প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারে কোন ঝামেলা ছাড়া।

৬) নির্ভরযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য ক্লাউড  সার্ভিস প্রোভাইডাররা  পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় অনেক গুলো ডাটাসেন্টার স্থাপন করে রেখেছে। এতে আপনার ডাটা নিরাপদে থাকে । 


ক্লাউড কম্পিউটিং সাধারনত চার ধরনের হয়ে থাকে।
  1. Public Cloud
  2. Hybrid Cloud
  3. Private Cloud
  4. Community Cloud
সুবিধাঃ

কম খরচঃ যেহেতু কোন আলাদা সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার কেনার প্রয়োজন হয় না। তাই স্বাভাবিক ভাবেই খরচ কম।

ব্যবহার বান্ধবঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এর কাজ গুলো যেকোনো স্থানে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যায় তাই এটা সহজে ব্যবহার যোগ্য।

সফটওয়্যার আপডেটঃ সফটওয়্যার আপডেট এর কোন  প্রয়োজন নেই। এগুলো অটোমেটিক আপডেট হয়ে থাকে। তাই আলাদা কোন মেইনটেন্স খরচ লাগেনা।

ডকুমেন্ট কন্ট্রোলঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট সমূহ কন্ট্রোল করতে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেবার জন্য আলাদা লোকের প্রয়োজন হয়না। অতিরিক্ত লোক ছাড়াই সকল ডকুমেন্ট কন্ট্রোল করা যায়।



সিকিউরডঃ  ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ডাটা হারিয়ে যাতে পারে। হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়া সহ নানাবিধ স্যমস্যা থাকে।  এসব হতে ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পূর্ণ মুক্ত। ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পূর্ণ সিকিউর এবং আপনার ডাটা হারানোর বা নষ্ট হবার কোন চান্স থাকে না।

কিছু ক্লাউড কম্পিউটিং অ্যাপ্লিকেশনঃGoogle Apps, Evernote, Quickbooks, Toggl, OneDrive