বিজ্ঞানী ও সাধারন মানুষদের মধ্যে একটি বিশেষ পার্থক্য হল তাদের ধৈর্য্য ও চিন্তা , বিজ্ঞানের বহু আবিষ্কারের পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ সময়ের গবেষনা । কেও হয়ত কোন জিনিস নিয়ে গবেষনায় ছিল মাসের পর মাস , কেও আবার ছিল বছরের পর বছর , এখন বলব পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ একটি পরীক্ষার কথা , যা ১৯৩০ সালে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে ।
হয়ত শুনতে আজব লাগতে পারে , তবে আরো আজব করার মত জিনিস হল পরীক্ষাটি , আলকাতরার সান্দ্রতা (Viscosity) পরীক্ষা , পুস্তকীয় ভাষায় সান্দ্রতা বলতে বুঝায় তরল পদার্থের অভ্যন্তরীণ ঘর্ষণের ফলে প্রবাহে (বয়ে যেতে) বাধা দেবার প্রবণতাকে ।
একটি কাচের ফানেলে আলকাতরা দিয়ে কতক্ষনে তার ফোটা পড়ে এটি পরীক্ষা করাই ছিল মূল উদ্দ্যেশ্য। ১৯৩০ সালে প্রফেসর থমাস পারনেলের হাত ধরে এই পরীক্ষার সূচনা ঘটে , সর্বশেষ উত্তরসুরী হিসেবে এই পরীক্ষা পর্যবেক্ষন করেন প্রফেসর জন মেইনস্টোন । ১৯৩০ সালে শুরু হয়ে প্রতি ৮ বছরে ১ টি ফোটা পরত কিন্তু একটু দেরীতে ১৯৮৮ সালে এর সপ্তম ফোটা টি পড়ে , দেরী হওয়ার কারন হিসেবে ল্যাবের এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমকে দায়ী করা হয়েছিল , ৮ম ফোটাটি পড়তে সময় একটু বেশী নিয়েছিল তা ছিল ২০০০ সাল। ৯ম ফোটাটি ২০১৪ সালের ১৭ ই এপ্রিল পড়ে , বেচে থাকতে এই পরীক্ষার শেষ দেখে যেতে পারেনি কেওই , পরীক্ষার শেষ গবেষক জন মেইনস্টোন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আলকাতরার নবম ফোটা পড়ার কিছু দিনের ভেতর। এই পরীক্ষাটি গিনেজ বুকে the longest-running laboratory experiment নামে রেকর্ড করেছে। ২০০৫ সালে এই পরীক্ষাটি IG Noble Prize পেয়েছিল , IG noble তারাই পায় যাদের কাজ নিয়ে মানুষ হাসবে কিন্তু এতে চিন্তা করার মত বিশেষ কিছু থাকবে ।
হয়ত শুনতে আজব লাগতে পারে , তবে আরো আজব করার মত জিনিস হল পরীক্ষাটি , আলকাতরার সান্দ্রতা (Viscosity) পরীক্ষা , পুস্তকীয় ভাষায় সান্দ্রতা বলতে বুঝায় তরল পদার্থের অভ্যন্তরীণ ঘর্ষণের ফলে প্রবাহে (বয়ে যেতে) বাধা দেবার প্রবণতাকে ।
একটি কাচের ফানেলে আলকাতরা দিয়ে কতক্ষনে তার ফোটা পড়ে এটি পরীক্ষা করাই ছিল মূল উদ্দ্যেশ্য। ১৯৩০ সালে প্রফেসর থমাস পারনেলের হাত ধরে এই পরীক্ষার সূচনা ঘটে , সর্বশেষ উত্তরসুরী হিসেবে এই পরীক্ষা পর্যবেক্ষন করেন প্রফেসর জন মেইনস্টোন । ১৯৩০ সালে শুরু হয়ে প্রতি ৮ বছরে ১ টি ফোটা পরত কিন্তু একটু দেরীতে ১৯৮৮ সালে এর সপ্তম ফোটা টি পড়ে , দেরী হওয়ার কারন হিসেবে ল্যাবের এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমকে দায়ী করা হয়েছিল , ৮ম ফোটাটি পড়তে সময় একটু বেশী নিয়েছিল তা ছিল ২০০০ সাল। ৯ম ফোটাটি ২০১৪ সালের ১৭ ই এপ্রিল পড়ে , বেচে থাকতে এই পরীক্ষার শেষ দেখে যেতে পারেনি কেওই , পরীক্ষার শেষ গবেষক জন মেইনস্টোন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আলকাতরার নবম ফোটা পড়ার কিছু দিনের ভেতর। এই পরীক্ষাটি গিনেজ বুকে the longest-running laboratory experiment নামে রেকর্ড করেছে। ২০০৫ সালে এই পরীক্ষাটি IG Noble Prize পেয়েছিল , IG noble তারাই পায় যাদের কাজ নিয়ে মানুষ হাসবে কিন্তু এতে চিন্তা করার মত বিশেষ কিছু থাকবে ।